অনেক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে

অনেক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আমি (এসে গেছি) এই দেশে
এসে গেছি- কেননা এখানে শুধু- সব দিকে- সর্বদাই
বিকেলের আলো- জানালা রুদ্ধ ক’রে রেখে দিলে তবু তার কাঁচের ভিতরে
সূর্য হাসে- আমার আত্মাকে এক সাদা সারসের
ক্রীড়া মনে ক’রে- মানুষের চিন্তা তবে অন্ধকার
জলের মতন এক নিরয়ের হ্রদে
মানুষের দেহসত্য- যখন মানুষী নেই কাছে
চারি-দিকে বিকেলের আলো জ্বলে- কোনও অশরীরী
সমুদ্রের বালি থেকে আয়নায় অগ্নি পেয়ে চির-দিন
ধবল মেঘের মতো মূর্তি ধ’রে বাতাসেরা অনর্গল
মুহূর্তেই জাদুবলে হয়ে যায় সাদা পায়রা’র ভিড়
কাঁচের গেলাসগুলো সেই শব্দে মুখরিত হয়ে
ভেঙে যায়- আশ্চর্য প্রত্যাশা নিয়ে ফিরে আসে মুহূর্তেই
বড়ো সাদা পাথরের টেবিলের ‘পরে স্বচ্ছ জলের আগুনে
আকণ্ঠ উজ্জ্বল হয়ে- বিকেলের বিছানায় আমার দেহকে
সম্রাটের শটিত শবের মতো মনে করে তারা
আরণির কিরণের মতো জ্বলে
যখন সকল মাঠে বায়ুর ভিতরে
বিকেলের অফুরন্ত রৌদ্রের অনন্ত তিমির।