অনেক ভূখণ্ড থেকে ফিরে

অনেক ভূখণ্ড থেকে ফিরে এসে এক দিন ভোরে
কোথাও পথের মাঝে মনে হল চলেছে শরীর
সময় কি আমার এ-হৃদয়কে নিয়ে খেলা করে
নচেৎ প্রতিটি পথ নিজের রেখার চেয়ে স্থির

হয়ে থেকে সারা-দিন বিচক্ষণ ভাবে
মিশে যায় অন্য এক পথের রেখায়!
কেন যায়?- মনে হয় একটি আবছা সরলতা
দেখা গেলে দেখা যেত অতীব নির্মল স্পষ্টতায়

তবু সেই করুণাকে দূর থেকে দেখি আমি শুধু
সময়ের কুয়াশায় আটকায়ে গিয়ে
পথের সীমান্তে গিয়ে অনুভব করি, দিওতিমা
আমি তার সূচনায় রয়েছি দাঁড়িয়ে

সকল যথার্থ পথ অতীব নীরব হয়ে থেকে
আমার বালকোচিত দুর্দশাকে ছুঁয়ে
অন্ধকার অনভিজ্ঞতাকে এক প্রদীপের রূপ দিতে চায়
কাহারও মহানুভব অবজ্ঞার ফুঁয়ে

নিভে যেত যদি সেই আলো- তবে অন্ধকারে আমি
পেতাম অপর দিক- অন্য এক অকৃত্রিম নরকের পথ
কেউ নেই- তবু জানি সময়ের ঘেরাটোপ খুলে
প্রণয়িনী সর্বদাই আপনার মতন মহৎ

হতে চায়- সকালবেলার এক হ্রদের ভিতরে স্পষ্ট জল
হুবহু ছবির মতো নগরীর মিনারকে নিয়ে
ছড়ায়ে রয়েছে- তবু- মিনারে চিলের- তীব্র- রোল
আমারই আত্মার মতো জলের ছবিতে নেমে গিয়ে।

কোথাও দক্ষিণ বাম চিহ্ন শব্দ সুর
নীলিমা পৃথিবী নেই তার
দুইটি পাখির ফাঁকে ব্রহ্মার মোহিনী সময়
আকৃতি দিয়েছ ব’লে, দিওতিমা, পেয়েছি আকার।