অনর্থ-উজ্জ্বল

কবির উন্মীল দান জন্ম পায় স্তব্ধতার থেকে
নীরবতা দু’-চার রকম
নিবিড় শৃঙ্খলা জানে মক্ষিকারা
নক্ষত্রেরও রয়েছে প্রমূর্ত সংযম।

স্তব্ধতায় কাজ ক’রে যায় তারা
দূর থেকে তাহাদের গুঞ্জরণ, আলো
নানা-রূপ সূচনাকে চোখে তুলে ধরে
বিবর্ণ গাধা’র বৃত্তি যখন ফুরালো।

এই সব নক্ষত্র ও মক্ষিকারা তবু
ঘুমে-ঘোর সক্রিয়তা- অন্তঃসার নয়
ইহারা প্রতীক-রূপে রয়ে গেছে স্বর্গে- দিগন্তরে
যেহেতু নরককেন্দ্র সংবেদনময়।

রক্তাক্ত উনুন ঘিরে কৃকলাস, কঙ্কালের ভিড়
লক্ষ সমুদ্রেরও চেয়ে আরও বড়ো কোলাহল
ইহাদের মাঝখানে চির-দিন ব’সে- ভোগ্য হয়ে
কবির বুনুনি: প্রেম- নচেৎ সে অনর্থ-উজ্জ্বল।