অপ্রেমের

চারি-দিকে মৃগয়ার কলরব- অপ্রেমের বীজ-
বয়স হয়েছে ঢের পৃথিবীতে বেঁচে
তাম্বুলকরঙ্ক নিয়ে দৈব বলে বর্ণনীয় রূপ
নির্জন পানের খিলি সেজে
মিশে যায় নিমেষেই আরও অন্ধকারে
কে চেয়েছে তারে
তবু যেন জ্যামিতিক ঢের কক্ষ ঘুরে
যত দূর কক্ষ চ’লে যায়
গণিত নিজের বিদ্যা এখানে হারায়
গভীর- গভীরতর রাত্রির দুপুরে-

তাম্বুলকরঙ্কপাণি মধ্যরাতে
মানুষ তো নয় কিছু- নির্মানবিক
ছায়া হতে ছায়ান্তরে চ’রে যায়
যেন কিছু নিবিড় প্রতীক
তাহার দর্পণ থেকে ধীরে
উপসর্গের মতো নিস্তব্ধ তিমিরে
ছেড়ে দেবে- টেনে নেবে হেঁয়ালির জাল
যদি কোনও বিষয়ীর কণ্ঠনালি থেকে
সিংহ ওঠে আমিষের ঘ্রাণ পেয়ে হেঁকে
বরফের মতো হিম হয়ে র’বে তবে সেই পশুর কঙ্কাল।

কক্ষ গেছে বহুতর কক্ষান্তরে ঘুরে
জ্যামিতির স্থির শব্দহীন অভিরুচি
এইখানে আপনারে পরিণতি দিতে চায় শেষে
কোনও এক মায়াবীর দর্পণকে খুঁজি
ফিরোজা-রঙের দূর অলিন্দের থেকে
ঈর্ষায় পেচক যায় ডেকে
ফুলে ওঠে গলার কোমল রোম: পনির-ধূসর
শুক্ল এক ঋষির মতন যেন আদি পৃথিবীর
রিরংসাকে হয়তো-বা জয় ক’রে ব’সে আছে ধীর
উড়ে যায়- তবু কোনও প্রলোভনে- কক্ষ হতে দূর কক্ষান্তর।