ওরা চার জন

আমরা চারটি যুবা- চার দৃষ্টিকোণ এক ক’রে
হৃদয়ে রয়েছে অক্ষ বিষুবরেখার গোল ফিতে
আদেশ এসেছে ক্লিষ্ট নেপথ্যের থেকে
নবীন পৃথিবী এক আবার বুনন ক’রে দিতে

ধূসর হেমন্ত-রাত: ঊর্ণা আর কঙ্কালের মাঝে
বিলুপ্ত গ্রন্থের মাঝে- চাখড়ির দাগের ভিতরে
বাহিরে কখনও চাঁদ উঁকি মেরে গেলে
বেদনায় উত্তেজিত কুকুরের স্বরে

পুনরায় মৃত সব শকুনের মতো বড়ো মেঘে
হয়ে থাকে বোবা ও বধির
টেবিলে একটি আলো নিজের অনল দেখে ম্লান
কুকুরেরা এখন আলোর চেয়ে স্থির

ক্রমে-ক্রমে মনে হয় ব্রহ্মার ডিমের ভিতরে
কোনও এক চীনেমাটি-বাসনের ‘পর
আমরা বিভিন্ন ছবি- আমরা বিভিন্ন ছবি সব
লিঙতাই নামে এক মঙ্গোল ভাস্কর

নিয়ন্তা রেখার টানে- নিবিষ্ট হৃদয়ে
এঁকে গেছে- ব’লে গেছে অমর ভাষায়
‘অনন্ত সময় ফেঁসে গেছে ইহাদের
অনন্ত সময় কেটে চলে পুনরায়

অনন্ত সময় তবু আবার কাটাতে হবে
ব্রহ্মা এসে দেখে যাক আমার রগড়
চারটি অটুট ছবি- চাঁদ নেই- চাঁদ দেখা দিলে
ধরা পড়ে নারকীয় কুকুরের স্বর।’