অভিজ্ঞতা বেড়ে যায়

অভিজ্ঞতা বেড়ে যায় পৃথিবীর দৈনিক ঘুরুনির সাথে
তার পর মুখোমুখি ব’সে থাকে ঢের পরিচিত দুই জন
অথবা তৃতীয় এক ছায়া নেমে আসে
কোনও দিন তার সাথে বিভাগ করেছি সিংহাসন
তবুও সে লোষ্ট্র আজ সময়ের নদীর ভিতরে
কারণ, শরীরে তার কোনও দিন ছিল না ক’ বিষয়ীর মন

জাফরান আলো পেলে যাদের হৃদয়ে হত নাচুনির লোভ
তাহারা গিয়েছে পুড়ে- বহু দিন হয়
অসংখ্য যুবারা গেছে কাহিনির মাছ হয়ে উড়ে:
ভালো লেগেছিল চোখে: কাঁচের গেলাসে জল: কেমন উজ্জ্বল, নিরাময়।
কেউ-বা গম্বুজে চ’ড়ে অনাদি গ্রন্থের সাথে ব’সে
পালকের মতো ক্ষীণ হয়ে গিয়ে বাতাসেই পেয়ে গেল লয়

হে আদিম সৃষ্টির মহাভূতরাশি
মানুষের টিটকারি ফিরায়ে দিতেছ তার দন্তের দৃঢ় এনামেলে
হাতুড়ির মতো ঘায়ে- হাতুড়ির মতো ঘায়ে
যতই সে ঊর্ধ্বে ওঠে- আচরণ-তৃপ্তি নিয়ে ব্রহ্মা’র ডিমের মতো বড়ো বাতি জ্বেলে
তোমরা মোমের মুখে চাখড়ির মতো শুষ্ক আলোক তবুও
সেই সব লাক্ষার হাড়গোড় সিলমোহরের ছাঁচে ঢেলে

তবু যারা ঢের দিন বেঁচে থাকে এই সব ভূতের ভিতর
সেই সব নারীদের দেহে জন্মে- দেহে কৰ্কটের রোগ জেগে উঠে খেয়ে যায় স্তন
সেই সব পুরুষেরা স্নায়ু নিয়ে ব’সে থাকে ত্রিভঙ্গিম পাহাড়ের ‘পর
শোলার মতন লঘু- লঘু নীল ময়ূরের সাজের মতন
কারণ, তাদের মনে জেগেছে অভিজ্ঞ অহঙ্কার:
হয়তো ময়ূর তারা, হয়তো-বা ময়ূরবাহন।

তাই তারা নেচে উঠে উড়ে যেতে চায় সাদা মেঘের ভিতরে
নিবিড় যোটক আছে সেইখানে- কার্তিকেয় জানে
নিউটন গড়েছিল- এ-রকম- ও-রকম স্বপ্ন শুধু
আইনস্টাইন নিসর্গকে দেখে গেছে পূর্ণতর জ্ঞানে
তবুও প্রবীণ কল্কি আকাশরেখায় নাচে- আসন্নপ্রসব
সমস্ত ধূসর নখে ফলিবে নতুন নখদর্পণের মানে।

হে আদিম সৃষ্টির মহাভূতরাশি… etc.?