পিতৃলোক সন্তানের কাছ থেকে

পিতৃলোক সন্তানের কাছ থেকে করেছিল ঋণ
সন্তানেরা হয়েছিল পিতাদের মতো সমীচীন
সন্ততির জন্ম দিয়ে গিয়েছিল তবুও আবার
পতিতাকে সাধু মনোভাবে ভালোবেসেছিল ঢের জার
রেশমকে শত্রু ভেবে সূর্য ধরেছিল তরবার
বজেট-মিটিং ছেঁটে তবুও কাটে নি ওরা লেজ
কয়লার খনি ধুয়ে ইন্দ্রধনু ক’রে দিয়েছিল বংরেজ
নীল বর্ণ শৃগালকে ধুয়ে দিয়েছিল পুনরায়
নচেৎ সে পথ খুঁজে ম’রে যেত শৃগাল-সভায়
এ-সব তরঙ্গ নিয়ে আমাদের মহাপৃথিবীতে বার-বার
সম্রাট উঠেছে জেগে- ভোরবেলা মুর্গির ঝঙ্কার
মিশে গেছে সৈন্য-সংগ্রামের কলরবে
মানুষ অধীন হয়ে মানুষের হবে
নিসর্গ অধীন হয়ে মানুষের হবে
এই সব অক্লীবের মতো উক্তি দ্বিরুক্ত বিপ্লবে
পরস্পরকে গেছে স্মরণীয় দিন ভ’রে কেটে
এ-রকম ভূমিকায় শোকাবহ ভাবে খেটে
তবুও কোথাও নেই বড়ো বিষয়ের মতো শোক
ভেবে নিয়ে দিন-গুজরান করে প্রেমিক বালক
ঢের শব্দ আছে- তবু শব্দের ভিতরে
জ্ঞান তার অপরাধ অনুভব করে
ঢের জ্ঞান আছে, তবু জ্ঞানের মহিমা
ক্ষুদ্রতর ক’রে মানে মানুষের বিনয়ের সীমা
হয়তো-বা মানুষের হৃদয়ে বিনয়
বাতাস-বন্দি হয়ে আছে ব’লে সেই ধবল ফেনার পরিচয়
নিজ রঙে উত্তেজিত হয়ে শেষে থেমে
দেখা দেবে- দেখা দিতে পারে কোনও স্বাভাবিক প্রেমে
ভেবে সে প্রেমিক ছেলে দিন-গুজরান ক’রে যেতেছে হারেমে।