পিতৃপুরুষদের আস্বাদের ভিতর

পিতৃপুরুষদের আস্বাদের ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ল সে
কলকাতার এক আধো-অন্ধকার গলির ভিতর থেকে
আরও দূর গলির ভিতরে ছুটে গেল
নির্বাণের ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করেছে সে
কবেকার বৈশালী রাত্রির কথা আবার মনে জেগেছে
সেই পাণ্ডুলিপির মতো মোমের আলোয় উর্বশীকে দেখেছিল সে
(তার শ্রমণ মুণ্ড)
বৌদ্ধ ভিক্ষুনির রূপে দাঁড়িয়ে রয়েছে
(সেই গহন মুখের রূপ দৃষ্টিকে বল্গার মতো টেনে নিয়েছে তার স্তনেরও উপরে
এক বার তার মুখ দেখলে তার দেহের ধূসর জনরবের দিকে কুকুরেরা তাকায় শুধু)
সেই থেকে চিলের মতো- ধূসর পেঁচার মতো
শূন্যের থেকে আরও দূর শূন্যের অবিরাম বৃত্তের ভিতর
ধরা প’ড়ে গিয়েছে সে- সৃষ্টির আদিম বিবর্ণ জ্যামিতির।
অলিতে-গলিতে- কলকাতার আধো-অন্ধকার কলোনির থেকে কলোনির ভিতর
সেই ক্ষীণ রাজপুত্রের মতো দীর্ঘ- সেই মোমের গন্ধের মতো রাত্রির উর্বশীকে
পেতে চায় সে।

জনহীন সমুদ্রের রাত্রে হঠাৎ যেমন মাস্তুল শতভিষা নক্ষত্রের স্তন স্পর্শ ক’রে
তাকে রোমাঞ্চিত ক’রে দেয়।