পরিহাসে নক্ষত্রে উড্ডীন

ঘুরুনো সিঁড়ির ‘পরে উঠে যাই- ছিপছিপে শ্বেতসার মোম হাতে নিয়ে
সিঁড়ি সে অনেক দূর উঠে গেছে কারু মনপবনের সাথে বন্ধুতায়
তুষের রঙের এক প্রাসাদের গায়ে লেগে জ্যোৎস্না গিয়েছে হারিয়ে
ঢের নিচে পরিষ্কার হৃদয়ের কুকুর’কে নিয়ত খেপায়
এই সব অস্পষ্টতা;- আমারও হৃদয় এক নিপীড়িত জন্তুর মতন
বেলুন ও নক্ষত্রের ব্যবধান ভালো ক’রে জেনে
রাতের টেবিলে- রক্তে- ফুটপাথে যে-সব ভ্রমের নিরসন
হয় নি- তা- অনেক কনফুশিয়াস ইতস্তত নিটোল সজ্ঞানে
সমাধানে ব্যস্ত আছে বুঝে এই ঘুরুনো সিঁড়ির
নিস্তব্ধ নির্দিষ্ট রাতে উঠে যায় একা
এই সিঁড়ি কোনও এক প্রকোষ্ঠের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়েছে স্থির
সেখানে তোমার দেখা পাব- কোনও দানবীর দেখা
হয়তো-বা আর-এক চুল গেলে পাওয়া যেত- তুমি এ-রকম।
তোমার মুখের রেখা এত দূর,- সাধারণ জনতায় এমন ক্বচিৎ
হঠাৎ দানবী ব’লে হয়ে যেত ষোলো-আনা ব্যাপারির ভ্রম
পরিতৃপ্ত মানুষের বিবেকের এমনই সম্বিৎ।
বার-বার শোধিত হয়েও স্নিগ্ধ পৃথিবীর বড়ো-বড়ো মনীষীর কাছে
এখনও অতৃপ্ত আমি- অন্তঃসারহীন
করালীর অগ্নি খেয়ে মেরুদণ্ডে তিক্ত অসন্তোষ লেগে আছে
মীনকেতনের হাসি পরিহাসে নক্ষত্রে উড্ডীন।