পরিষ্কৃত অন্ধকার

আকাশে কোথাও কোনও চাঁদ নেই- পরিষ্কৃত অন্ধকার ঘিরে
কোথাও নক্ষত্র নেই- চারি-দিকে বাতাসের ঘুরুনো সিঁড়িতে
সুমেরীয় ধুলো হাড়- কলকাতা নগরীর আঁশ
এ-রকমই সময়ের মাঝখানে এক দিন মরেছে অনেক ক্রীতদাস
মানুষ-আত্মার কথা প্লেটো’ও করেছে উদ্ভাবন
কঙ্কালের ধুলো থেকে সেই সব চিন্তা আজ তুলে যদি নিতে

তুলে যদি নিতে তুমি জানুর উপরে বই রেখে
বাতাসের হাত থেকে সন্তর্পণে হৃদয় বাঁচায়ে
মোম জ্বেলে মেঝের কিনারা থেকে রাতের প্রহরে
চেয়ার ঘুরায়ে নিয়ে- না হলে অনেক কীট হৃদয়কে দ্বিখণ্ডিত করে
কার যেন বড়ো কুকুরের ঘুম ভেঙে গেল অই দূরে ধবল প্রাসাদে
মাঝ-রাতে বেলুন-চাঁদের আলো হঠাৎ লেগেছে তার গায়ে

আমারও হৃদয়ে কোনও ঘুম নেই, মহনীয় গ্রীক!
বহু দিন বিজাপুরি চটিজুতা পায়ে দিয়ে কোনও এক নারী
দোতলার সিঁড়ি ভেঙে তেতলায়- ছাদ থেকে নক্ষত্রের দিকে
চ’লে গেছে; কুলোয় উড়ায়ে দিল ধূমাবতী মেনকা’র মতন নারীকে।
আমারও বিরক্ত চিন্তা চাঁদের আলোয় রুক্ষ কুকুরের মতো-
তবুও মানব-আত্মা বুকে নিয়ে মনে করে তুলনায় জিভ কিছু ভারি।