পৃথিবীর যেই পারে থাকি

পৃথিবীর যেই পারে থাকি আমি এই কথা আমার তবুও মনে রবে:
সেই এক সমুদ্রের ধারে আমি তোমারে এসেছি ফেলে,- আমি এক-জনা
এক দিন বিদেশের এই আকাশের তলে আমি ক্লান্ত হ’য়ে আর রহিব না;
এক দিন আমার সে-আকাশের পরিচিত নক্ষত্রের তলে যেতে হবে!
সেখানে শীতল রাত্রি জেগে থেকে পরিষ্কার শিশিরের জলে ধুয়ে লবে
তখন আমারে;- অনেক আকাশে ফিরে হৃদয়ে জাগিয়া গেছে যেই উত্তেজনা
শান্ত ক’রে দেবে সব;- দেশের সবুজ মাঠ হয়তো তবুও সেই ব্যথা জানিত না,
বালকের মতো আমি পথ থেকে স্খ’লে গিয়ে সেই ব্যথা শিখেছি যে কবে!-

জানিব না;- আলো আর অন্ধকারে আশ্বাসে রয়েছে ভ’রে তবুও হৃদয়,
অনেক ভিড়ের থেকে ফিরে এসে পৃথিবীর পথ থেকে ছুটি ল’য়ে আমি
ফুরায়ে ফেলিব এক শেষ সাধ,- ক’রে লব এক শেষ আকাঙ্ক্ষার ক্ষয়;
শীতের নদীর মতো এক শেষ ঢেউ তুলে যাব আমি থামি
এই বাংলার পথে,- ছড়ায়ে ফেলিব আমি অন্তরের সকল বিষয়
এইখানে,- যখন সকল পথ দেশের মাঠের পথে এসে শেষ হয়-।