পৃথিবীর উদ্যমের মাঠে

পৃথিবীর উদ্যমের মাঠে-মাঠে যারা খেলা করে
কিংবা যারা অগণন ঘরের ভিতরে
আকাশকে টের পায়;- টের পায়?
কোথাও আকাশ আছে মনে করে
কোনও এক নিদারুণ জ্যামিতির বেদীর মতন,
কিংবা যারা দীর্ঘ- দীর্ঘতর মঞ্চে করে আরোহণ
ক্লান্ত হয় না ক’ যারা যশে, জয়ে, কপালের ঘামে
এই সব অবিরাম ধুলো যারা কিনে নেয় নক্ষত্রের দামে
অক্লান্ত থাকুক তারা- ভয় পাক- ক্রমে-ক্রমে স্থবির বয়স
কেড়ে নিক তাহাদের-

আশ্চর্য নিশীথে আজ ভাবি আমি- যুবা আমি?-
হয়তো যুবক নই

অই সব নক্ষত্রেরা- এই শান্তি- শিশিরের এই শব্দ
মসৃণ চামর নীল বাদুড়ের- সৃষ্টির এই সব অনাদি বয়স
আমাকে দিয়েছে অব্যাহতি
চারি-দিকে বন্দর আর নগরের কথা, কাজ, শব্দ আর গতি
বাঘের মতন যেন হরিণের ঘাড় ছিঁড়ে ফেলে
ভেঙে বার-বার ইতিহাসে অন্ধকার রক্তের জোনাকি হয়ে ঝরে
যারা রৌদ্রে সারা-দিন টহল দিচ্ছে পৃথিবীতে
হুন্ডি ফাঁদছে- ফাটকা বাজার লুটছে- মহাসাগরে ঘুরছে
কিংবা যারা ভিক্ষা চেয়ে দোরে-দোরে ফেরে
যারা তিক্ত কিংবা যারা মদের পিপের মতো মিঠে
এখন করুক তারা স্বার্থের প্রয়োজনে রঙ্গ আর রণ
মঞ্চ থেকে আরও দূর মঞ্চে আরোহণ
অথবা জলের গায়ে কিংবা পাথরের বুকে লিখে যাক নাম
হোক তারা ইন্দ্রপ্রস্থ মিশরের মতো দীর্ঘ থাম
সমুদ্রের মতো ক’রে করুক পৃথিবী আলোড়ন

বিস্তৃত অগ্নির মতো: দানবীয়- উঠুক সজোরে তারা স্ফুরে
অথবা দেখুক ভিক্ষাপাত্রের ফাটল আজও চৌচির হয়
ক্ষয়িত হয়েছে যা, তা আরও পায় ক্ষয়
লক্ষ টন ইতিহাসে ছটাক কর্পূর
আছে কী না আছে জেনে আবার গড়ুক রোম লন্ডন বেবিলন উর।