প্রাইভেট টিউটর

প্রাইভেট টিউটর একটা সেক্রেটারিয়েট টেবিলের সামনে গিয়ে বসেছে
পাশে ছেলেটি
ছেলেটিকে ছ’ বছর পড়িয়েছে সে
কাল ছেলেটির ‘এগজামিন’
তার পর ইউনিভার্সিটির থেকে বেরিয়ে যাবে সে
আর ফিরবে না
একেবারে জীবনের ভিতর ভিড়ে যাবে এই যুবক
যে জীবনের জন্য লালসা মাস্টারের মনে জেগে উঠতে পারে
কিন্তু সে জীবনের ভিতর মাস্টারের কোনও প্রবেশ নেই
চার মাস পরে- ছ’ মাস পরে- এই কোঠায় এই সেক্রেটারিয়েট টেবিল থাকবে
চেয়ার- সোফা- আলমারি- ছবিগুলো থেকে যাবে
জানালার পাশ দিয়ে কামিনীর ডালপালা তখনও এম্নি নড়তে থাকবে
সোনালি চিলটা এম্নি চুপে-চুপে আকাশ থেকে নেমে
চেৎলার দিকে বেহালার দিকে উড়ে যাবে
সন্ধ্যায়
কিন্তু তবু এ-সবের আস্বাদ বদলে যাবে
যদিও এ সোনালি চিল কিছু নয়
এমন সন্ধ্যা কিছু নয়
কামিনী গাছটা টিম্বার হবারও উপযুক্ত নয়
এই ছেলেটি
প্র্যাকটিক্যাল
অনেক দিনের সুবিধাবোধের রক্ত এর শরীরে
না জানি ছ’ মাস পরে- দু’ বছর পরে
এই নিরিবিলি ধূসর কামরাটিকে- বাহিরটাকে- আকাশটাকে
কেমন ওক প্যানেল ও জিল্যান্ডার পালিশে ভদ্রসদ্র ক’রে তুলবে সে
সবার হয়ে ভাবছে মাস্টার
কামিনী গাছটা ভাবছে।