প্রবীণ চিল

ভাবিছে প্রবীণ চিল
এইখানে কঙ্কালের মতো কালো পাহাড়ের ‘পরে
পাথরের বিসর্পিত জ্যামিতিকী মনে মিশে যায়
যদিও বাতাস আসে বোবা ও বধির স্তূপ জ্বেলে
বাদাম-ফুলের গন্ধে
দুধের মতন অগ্নি নিয়ে
জাঞ্জিবার-সমুদ্রের থেকে
সর্ষের মতো মণি জ্ব’লে ওঠে চোখের ভিতরে
অফুরন্ত সূর্যের স্ফটিকে
এখানে প্রস্তর-যুগ তবু পৃথিবীর
মানুষের সভ্যতার চেয়ে ঢের
অন্য এক আবেগের সূচনায়
আজও মোরা খড় দিয়ে বাঁধিতেছি নীড়
ডিম পাড়িতেছি আজও প্রাথমিক তেজে
অনেক চিলের কণ্ঠ উতরাইয়ে উঠিতেছে বেজে
ঢের নিচে শহরের অশ্রান্ত রোটারি-প্রেস শব্দ করে
বন্দুকেরও চেয়ে আরও ভয়ঙ্কর স্বরে-
বহুতর অধ্যায়ের নাই ইতিহাস
পৃথিবীর মৃত্তিকায় তবু যারা প্রেম পায়
মধ্যন্দিন সূর্যকে পাগড়ির মতো বেঁধে
গোধূমের জমি ক’রে চাষ
তাহাদের ছিটেগুলি এক-আধ বার আসে প্রিয় বার্তার মতো উড়ে
পৃথিবী-বোনের থেকে রকেটের মতো যেন
মঙ্গল-গ্রহের কাছে- আমাদের বাষ্পে- এত দূরে।