প্রকাণ্ড হেমন্ত-রাত

প্রকাণ্ড হেমন্ত-রাত নক্ষত্রের ঠাণ্ডা আলোয়
এখানে সমুদ্র-পার ফেনা আর রাত্রির সাদায় কালোয়
একাকার হয়েছিল- যখন গেলাম আমি একা
কেউ নেই- নিমেষেই কেউ তবু কার সাথে দেখা
সাঙ্গ ক’রে চ’লে গেছে মনে হল- বেদনার ভরে
আমার পায়ের কাছে বধির পাথরে
কোথাও পাথর নেই- নারীমুণ্ড ধীরে
থেমে গেল তবু সেই পাথরের মতন শরীরে
মানুষের ভাষা নেই- তবু সেই নারী
আর সেই হেমন্তের সমুদ্রের খাড়ি
পরস্পরের দিকে চেয়ে অনিমিখ
নিজেকে না জেনে আমি মানব প্রেমিক
আজ এই ভয়াবহ সমুদ্রের- পাথরের- অথবা নারীর
মানুষের পিতা আমি, অথবা সন্তান কী না, সেই সব গোপন হাঁড়ির
খবর তাদের কাছে জানা আছে সব
জেনে নিয়ে হয়ে আছে আতঙ্কে নীরব
আমার অন্তর, মনে হয়;
ঢের আগে পরিচিত নারীর হৃদয়
সমুদ্রের পারে ঠান্ডা পাথরের মতো
সহসা প্রকাশ পেল আপনার স্বভাববশত
তবু সেই স্বভাবকে বহু দিন থেকে জানি আমি
অনুগামিনীর পিছে তবুও যখন অনুগামী
হায়, আমি তার সেই স্পষ্ট শরীরের
কামনায় লোভাতুর হয়ে তাকে পেয়ে যাই টের
আমার ঠিকানা খুঁজে পিছ থেকে কেবলই সে অগ্রসর হয়
সম্পূর্ণ ব্যক্তির মতো, কেউ কারু অর্ধাঙ্গিনী নয়।