প্রকৃষ্ট আনন্দ

প্রকৃষ্ট আনন্দ আমি পেয়ে গেছি পৃথিবীর এই দ্রুত কেন্দ্রের ভিতরে
আধো-ঘুম নিয়ে হেঁটে- সমুজ্জ্বল কামানের ‘পরে
যখন পড়েছে আলো কোনও এক অভিগামী ধবল মেঘের
অথবা ভিখিরি তার শুষ্ক দেহ নিয়ে হেঁটে মাথার উপরে
যেই চুল জমায়েছে- মনে হত তাহা যেন নীড়
কোনও এক দোয়েলের- তার পর অপ্রাকৃত দোয়েলকে দেখে:
ভোরের আঞ্জির-গাছে নিকটেই এক বোঝা বিবর্ণ পাতার
আধো-শুষ্ক শূন্য লতিকার ভিড়ে ব’সে আছে কালো
কালো সমুজ্জ্বল সাদা ডোরা নিয়ে সহৃদয়তায়
এখুনি সে উড়ে যাবে যেন এক মহড়ানুভবে
ভীষণ কৃমির দিকে- অথবা সূর্যের পানে হেসে-
যেমন নির্দেশ আসে সর্বদাই এই ব্রহ্মাণ্ডের
স্পর্শাতুর সময়ের নবীন-নবীনতর প্রতীতির থেকে।