প্রথম সে দক্ষিণের দিকে গেল

প্রথম সে দক্ষিণের দিকে গেল ঢালু করোমণ্ডলের কূলে
ঢের নারিকেল-গাছ নীল সমুদ্রকে দেখে সেখানে সহসা পথ ভুলে
দাঁড়ায়েছে- প্রাচীন ধূসরতর পৃথিবীর আত্মার মতন
সারস ও সমুদ্রকে বুকে নিয়ে তবুও এখনও গুঞ্জরণ
তুলে যায় নিস্খলিত সময়ের ঘড়ি অনুমিত সুরে রোদের ভিতর
আকাশের পথে তবু যখন এরোপ্লেনরা পরস্পর
রক-পাখি হয়ে আসে- স্ফটিকের মতো সাদা ডিমের আভাসে
যখন প্রতিটি মেঘ উম পেয়ে রক-শিশুদের মতো ভাসে
বাতাসের মুগ্ধ স্রোতে হয়ে আসে বিনয়াবনত
নারিকেল-গাছগুলো- হারুণ-অল-রশিদের মতো
গল্প শোনে- গল্প বলে- সহসা ঘুমের থেকে জেগে
চেয়ে দেখে নারিকেল-বন নেই- ক্রোনোমিটারের মতো বেগে
সমুদ্রের চিলগুলো মাংস খায় বাবুর্চির কাছে
অগণ্য জাহাজ, তারা (সর্বদাই) ডিনারের রং রিরংসায় ভ’রে আছে
শেষ রাধাকৃষ্ণেরা উবে গেছে- দয়াপরবশ সাদা মোম
অসংখ্য ধূসর মুণ্ডে জেগে উঠে হয়েছে নিবিড় এয়োরোড্রোম।