এক দিন অবশেষে ভোরবেলা চায়ের টেবিলে
দেখা গেল চীনেমাটি দিয়ে গড়া পেয়ালার ‘পর
হেলিওট্রোপের মতো আকাশের থেকে
মানুষ ও মানুষের অলঙ্ঘ্য প্রতীক পরস্পর
এক-জোড়া লঘু প্যারাসুট বেয়ে নামে
লঘুতর মনে হয় পেয়ালার প্রবীণ পালিশে
যেন তারা অনুকূল বাতাসের ভরে
কোনও এক প্রাসাদের বালিকার শিসে
নেমে আসে নদীর সফল জলে
গোধূমের খেতের ভিতর
মনে হয় ভোরের বাগানে ব’সে
কোনও এক চীন-কারিগর
এই ছবি এঁকে গেছে দুই পল- অনুপল- আগে
বুদ্বুদের মতো উঠে- লঘু তামাশায়
ঊর্ণার মতন দু’টো প্যারাসুট শূন্যে মাঝ-পথে
তবুও বৈকুণ্ঠ তারা- পৃথিবীর রক্তের ঝরনায়
বৈতরণী তরঙ্গের নিচে তারা
মাছের উজ্জ্বল লঘু শল্কের ভিতরে
কোথায় পালাবে তুমি তাহাদের হাত থেকে আজ
অথবা পালাবে কোন্ স্থিরতর বিষয়ের তরে!