পূর্ণেন্দু

দিন ছিল- পূর্ণেন্দু’র- এক-দিন
কনুইয়ের জোর দিয়ে অযথা অনেক ভিড় ঠেলে
মায়াবীর দড়ির উপরে চ’ড়ে- দড়ির উপরে চ’ড়ে
ফিরোজা রঙের মেঘে নিঃশেষিত হত অবহেলে

আর সরোজিনী ছিল করুণার অবতার
সেই ছোটবেলা থেকে একটি কমলালেবু নিয়ে
তোমার- আমার মুখে- সকলের মুখে রেখে যেত
জীব-ব্রহ্ম-অভেদকে রসিয়ে-রসিয়ে

তবুও পূর্ণেন্দু আজ মহার্ঘ ভিড়ের থেকে ঢের দূরে
সন্তরণশীল এক হাঁসের শরীর
মৎস্যরমণীর মতো সরোজিনী ততই নিতলে তারে টানে
যতই নিঃশ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে তিক্ত প্রণয়ীর।