রবীন দত্ত

আঁধার বালিশ নিয়ে কেঁদে শান্তি চেয়েছিল পৃথিবীর থেকে ফিরে এসে
তবুও ভোরের বেলা রক্তিম সূর্যের নিচে খুলে গেল মন
নগরীর গম্বুজের ঊর্ধ্ব থেকে যেন এক উৎফুল্ল ডিমন
বেবিলন থেকে আজ (চ’লে এল) কলকাতা- রবীন দত্ত’কে ভালোবেসে
(চ’লে এল)।- একে দিয়ে ঢের কাজ সাঙ্গ ক’রে নিতে হবে দানব তা জানে
প্রথম যে-দিন থেকে অ্যামিবা’রা নিয়ে এল পৃথিবীতে জীবনের বীজ
সেই হতে কোলাহল লেগে গেছে- কিছুতেই হয় না খারিজ
কেউ যদি মৃত্যু চায়- তবু তার আগে চায় মানে
ও বোনাস ও জীবনের চায়ের টেবিলে নুন ডিম
বাদামি চায়ের কাপ, গোলমরিচের গুঁড়ো, আরশোলা, রঙিন বিড়াল
উষ্ণ সুরে শুরু ক’রে দিয়ে গেল পুনরায় যে-কে-সে’র হাল
কৃমির ভিতরে ঢের থেকে যায় ক্রিম
চায়ের টেবিলে ভোর এলে পৃথিবীতে
রবীনের অজানিতে; রবীনের মৃত্যু হলে অসংখ্য রবীন
আসমুদ্র সূর্য ঘিরে অবিরল চালাবে ববিন
মুহূর্তেই এল তারা; অলস্টর গায়ে দিয়ে ফাল্গুনের শীতে
খাঁদা নাক, ন্যাড়া মাথা, জীবনের বয়স্কাউট, গার্লগাইড সব
যদিও তাদের পিতা রাত্রে একা কেঁদেছিল- দেয়ালের টাঙানো ঘড়ির
হাতুড়ির মতো শব্দে- নরকের থেকে যেন কেউ হিড়হিড়
ক’রে তাকে টেনেছিল;- এরা সব হ্রস্ব দানব
একটি কঙ্কাল শুধু সারা-রাত মশারিতে- দেরাজে- দেয়ালে
ঘুমাবার মতো লোক খুঁজেছিল- তার পর ভোর
জোড়াতালি দিয়ে গেল রহস্যের মতো হাড়গোড়
নিটোল সাহারাগোল্ড ঘড়ি ধ’রে চুমো খায় গালে।