রাতের পেঁচা

রাতের পেঁচারা সব পালায়েছে নিকটের বনের আঁধারে
জোনাকিরা ক্লান্ত হয়ে সারা-রাত কোনও স্তম্ভ পায় নাই খুঁজে
ভোরের প্রথমতম সাড়া পেয়ে নিশীথের উদগীর্ণ সবুজে
শেফালি-বনের ডিঙা মায়াবিনী যখন লেগেছে তার দ্বারে
দোয়েল কি পারে আর প্রণয়িনী খঞ্জনার মতন ঘুমাতে
আকাশের কয়েকটা শেষ তারা যেন কোন সমুদ্রের মাঝি
এই দিকে সরোজিনী সেন- একা- জুঁই-ফুলে ভ’রে তার সাজি
দোয়েল দেখিছে চেয়ে কুয়াশায়- পাড়াগাঁর স্তব্ধ শেষ রাতে
লক্ষ-লক্ষ দিন ধ’রে- তবু অই কয়েকটা শেষ তারা- আকীর্ণ নীরব
লক্ষ-লক্ষ বর্ষ ধ’রে সেতুহীন- শব্দহীন- সমুদ্রের মাঝি
রয়ে যাবে?- সরোজিনী সেন এসে জুঁই-ফুলে ভ’রে লবে সাজি
কোটি-কোটি স্নিগ্ধ যুগ- অন্ধকারে- ঈশ্বরের অগোচরে সব।