রাত্রির আলো ভালোবাসি

আমিও রাত্রির আলো ভালোবাসি- গ্যাসে নয়- নক্ষত্রের থেকে
এ-টেবিলে- অন্ধকারে- মনে হয় যেন তবু আমাদের শেষ মুখোমুখি বসা
সুজিত ঘোষাল
তুমি প্যাগোডা’র দিকে চলিতেছ- সমস্ত অতীত ল’য়ে- সেইখানে প্রজ্ঞাপারমিতা
আশ্চর্য সফেন শান্তি- যদি তুমি অন্ধকার বন্দি দানবের ঘড়া তুলে
কৃশ ধীবরের মতো- একা- জনহীন সমুদ্রের নিকটে দাঁড়াও

সর্বদাই আমাদের প্রাণে তবু দ্বিধা নেমে আসে
মন যেন তিক্ত হয়ে ভ’রে ওঠে জৈমিনি’র যুক্তির বিকাশে
যেখানে দুপুর গেছে সমুদ্রের জলে মিশে- মোহানার জল গেছে আকাশের দিকে
আমার মুখের থেকে চুরুটের ধোঁয়া সেই হেলিওট্রোপের দিকে যায়
মৎস্যনারীকে ছাড়া কাকে আর পায়
তবুও মাছের ফ্রাই- টেবিলের ‘পরে- রাত্রে-

মোমের আলোয় ক্রমে মাছের কঙ্কাল বার হয়
তুমি- ধীরে- মনে করো লাঙলের ফাল দিয়ে পৃথিবীকে ছিঁড়ে ফেলে- সীতা
পেয়েছিল কেউ এক দিন- আজও তুমি হেমন্তের সোনালি খড়ের দেশে একা
মৃতদার সারসের মতো চিত্তে ঝুঁকে মৃত্তিকাকে অর্থময়ী মনে করো?
চিত্রসেনী আর তার মৃত দয়িতের হাড় কাচের বৈয়ামে রেখে দিই- মনে হয়
সব হর্ষ স্তব্ধ হলে- এখন বিষয়বস্তু এই দু’টি প্রেমিকের এ-রকম নির্জন মনের বিনয়।