রজনীর অন্ধকার

রজনীর অন্ধকার এইরকম।
তবুও আরও অন্য এক অন্ধকার আসে
মোমের প্রদীপ হাতে- কোনও দিন-
কিশা গোতমীর মতো মূঢ় হয়ে চলে না ক’।

যেই রমণীকে মোরা পেলাম না কোনও দিন
আমাদের তাড়সের দিনগুলো বহুদিন হয় শেষ হয়ে গেছে ব’লে
সেও এই মৃত্যু- অন্ধকার
তাহার ছায়ায় মোরা বিষয়ী, পলিতকেশ, সপ্ত ঘুমন্তের মতো
ঘুমের ভিতর দিয়ে মৃত্যু পাব
মৃত্যুর ভিতর দিয়ে দেশলাই- আলপিন- গিনিপিগ-

আমরাও নীলিমার শকুনকে দেখি নাই কোনও দিন
তবু তার পরিবর্তে আকাশে হাউই বাজী ছুঁড়ে
সেই অগ্নিচূড়া যতদূর উড়ে যায় দেখি নি কি?
(আকাশকে এর চেয়ে কারা বেশী দেখে?)
আমাদের তাড়সের দিনগুলো বহুদিন হয় শেষ হয়ে গেছে ব’লে

সেও সেই মৃত্যু; অন্ধকার।
ঘুমের ভিতরে সিংহ নড়ে
অরণ্যের নয়
মেঝের উপরে অগ্নি জ্বলে-
যে পুষা তোমার নয়।

দিনের আলোয় যেই নগরীকে মোরা আধোসৃষ্টি ক’রে
কঙ্কালের স্তূপে ফেলে গেছি
ঘুমের ভিতরে আমাদের নাসিকার ডাশা তবু-
তবু তার- পরিচ্ছন্ন মিনারের চূড়ার মতন।
অসমাপিকার কাজ সাঙ্গ করে।
আমাদের তাড়সের দিনগুলো বহুদিন হয় শেষ হয়ে গেছে ব’লে
সেও সেই মৃত্যু; অন্ধকার।