রৌদ্রের জগতে

আমার চোখের ‘পরে যেন এক মানুষের আসা-যাওয়া
ভোর থেকে হেমন্তের গোধূলির পার
কাজ করি- কথা বলি- লোকসমাগমে চ’লে যাই
পুষে রাখি নিজের মনের অহঙ্কার

একটি মানুষ যেন এসেছিল মনে হয়
মাকড়ের জালের মতন ক্ষীণ শিশিরের পথে
রঙিন শামুক দু’টো খেলা করে রোজ
তবু তার আগে এক ভোরের জগতে

কোনও এক মানুষের বিচরণে অই দিকে
নদীর রেখার জন্ম হয়
অনেক ফাটল নিয়ে আমাদের পুরানো পৃথিবী
নিজের মাটির গন্ধে হয়ে থাকে প্রকৃত বিষয়

কে সে লোক? বেঁচে আছে? (ভুলে যাই)
চোখের ভিতর দিয়ে- আমার হৃদয়ে
ক্বচিৎ প্রবেশ করে- সারা-দিন তবু
দূর বাতাসের মতো বহে

মাঝে-মাঝে ঘড়ির কাঁটায় ব্যস্ত লেজারের কাছে
অথবা পোশাকি কোনও বিষণ্নতা নিয়ে
সহসা বাতাসে আমি ছবি এঁকে ফেলি
অনেক নিকটতর ভাবে এসে গোপনে দাঁড়িয়ে

আমার নিজের কাছে।- কোথায় দ্বিতীয় ব্যক্তি (তবে)?
অবশ্য অনেক লোক রয়ে গেছে; নগরীর স্তরে আর স্তরে
কোলাহল; তবুও একটি লোক আমাদের চেয়ে ঢের জ্ঞানী
উপজঠরের মতো সময়কে স্থির ক’রে রেখেছে- ভিতরে

আমাদের চেয়ে ঢের মেধাবী- সহজ-
উঁচু-উঁচু গাছ আর প্রান্তরের পথে
সারসের স্মরণীয় দিনটাকে কাটাতেছে গোরু ও গোধূম
সাদা মেঘ, চিল, নদী রৌদ্রের জগতে।