সামান্য মানুষ

একজন সামান্য মানুষকে দেখা যেত রোজ
ছিপ হাতে চেয়ে আছে; ভোরের পুকুরে
চাপেলি পায়রাচাঁদা মৌরলা আছে;
উজ্জ্বল মাছের চেয়ে খানিকটা দূরে

আমার হৃদয় থেকে সেই মানুষের ব্যবধান;
মনে হয়েছিল এক হেমন্তের সকালবেলায়;
এমন হেমন্তের ঢের আমাদের গোল পৃথিবীতে
কেটে গেছে; তবুও আবার কেটে যায়।

আমার বয়স আজ চল্লিশ বছর;
সে আজ নেই এ-পৃথিবীতে;
অথবা কুয়াশা ফেঁসে- ওপারে তাকালে
এ-রকম অঘ্রানের শীতে

সে-সব রুপোলি মাছ জ্ব’লে ওঠে রোদে,
ঘাসের ঘ্রাণের মতো স্নিগ্ধ সব জল;
অনেক বছর ধ’রে মাছের ভিতরে হেসে খেলে
তবু সে তাদের চেয়ে এক তিল অধিক সরল;

এক বীট অধিক প্রবীণ ছিল আমাদের থেকে;
ঐখানে পায়চারি করে তার ভূত-
নদীর ভিতরে জলে তলতা বাশেঁর
প্রতিবিম্বের মতন নিখুঁত;

প্রতিটি মাঘের হাওয়া ফাল্গুনের আগে এসে দোলায় সে-সব।
আমাদের পাওয়ার ও পার্টি-পলিটিক্স
জ্ঞান-বিজ্ঞানে আরেক রকম শ্রীছাঁদ।
কমিটি মিটিং ভেঙে আকাশে তাকালে মনে পড়ে-
সে আর সপ্তমী তিথি: চাঁদ।

নিরুক্ত । চৈত্র ১৩৪৯