সারমেয়

সর্বদা কী সব বই লিখে যেত মোমের আলোর কাছে (ব’সে থেকে) গরিলা ও বেবুন’কে ভুলে
অনেক চঙ্গে চ’ড়ে টাল সামলায়ে নিয়ে মাধ্যাকর্ষণের ঈর্ষা থেকে
যে-সব মৃতেরা বেশ ঘুমায়েছে কীট আর নেপথলিনে- তাহাদের ডেকে
দাঁত দিয়ে চিবোতে হয় নি আর কলমকে- স্বয়ং গণেশ এসে যখন আঙুলে
নেমেছিল রজনী’র- দ্বৈপায়ন চক্ষুস্থির ক’রে নিয়ে বসেছিল হৃদয়ে মাথায়
তখন সে আপনাকে ধূমাহীন নিসর্গের পরিপ্রেরিত এক ভূত
মনে ক’রে হামজা ও হিমজি’র মতন নিখুঁত
লেখনীর গরিমাকে দিয়ে গেল- স্বতঃসিদ্ধতায়।

বই লিখে- তবুও সে রাতের আঁধারে সব প্রীত পরিজন
ভুলে গিয়ে বালুঘড়ি ঠেস দিয়ে কেঁদেছিল- একটি বিড়াল
তাহার বালিশে ব’সে হয়তো-বা বুঝেছিল মানুষের জীবনের হাল
তাহার কাঁধের পার থেকে তার সত্তার উৎফুল্ল ডিমন
কুঁচকায়ে এতটুকু হয়ে গিয়ে আপনার নিরালম্ব ছায়ার বিভ্রমে
মিশে গেল লোকটাকে একা ফেলে- মানপত্র, প্রেসনোট, চিঠির ভিতরে-
লোহার শিকের পিছে শরীরকে হুড়হুড় ক’রে যারা দেখে যায় তাহাদের তরে
অনেক শেয়াল, শনি, বাড়িউলি, স্টেটসম্যান প্রফুল্ল জিহ্বার অনুক্রমে
ভালোবাসা দিয়ে গেল অনর্গল। তবুও চোখের জলে দাড়ি
মিয়োনো মুড়ির মতো হয়ে গেল রজনী’র- তবু গোল গাবিন আলোকে
নিজেকে সে খুঁজে পেল সড়কের মাঝপথে- সরমার চোখে- কঞ্চুকীরা টেবলোয় টাকেনটোকোকে।
বীমার দালাল এল। সকলে বেরুলে তবু খসাল না তাকে আর সেই তিনটি প্রবীণ ব্যাপারি।