সেই দূর পাতালের

সেই দূর পাতালের সাগরের সুরে এই পৃথিবীর সমুদ্রের বীণা
যেইখানে মিশে যায়,- পথ খুঁজে সেইখানে গিয়েছিল তারা একবার!
তাদের হৃদির রক্তে মিশে গিয়েছিল সব সমুদ্রের জোয়ারের ধার;
নরকের অন্ধকারে ব্যথা পেয়ে সেখানে বসেছে ‘প্রসারপিনা’-
সবুজ শাখার মতো,- গহ্বরের অন্ধকারে পৃথিবীর নিঃশ্বাসের মতো
জেগে আছে;- বধির নরক তার অন্ধ চোখ দিয়ে তারে করেছে আহত!
সেসব জেনেছে তারা,- নরকের রাত্রে এসে;- উপরের পৃথিবীর পানে
চোখ তুলে তাই তারা- পাতালের সিন্ধু ছেড়ে ফিরে গেছে সূর্যের আহ্বানে!
সিন্ধুর সাপের মতো ছুটে গেছে সমুদ্র সাপের মতো ছুটে গেছে যত-!

টাইটান মায়ের মতো জেগে তুমি হে সমুদ্র,- প্রথম টাইটান!
উত্তর আকাশে তুমি বহে নিয়ে চ’লে যাও দক্ষিণের বায়ুর আহ্লাদ,
পূর্বের বাতাসে তুমি মিলায়ে দিতেছ গিয়ে পশ্চিমের বাতাসের স্বাদ!
সিন্ধুর জলের গন্ধে মিশায়ে নিতেছ আকাশের নক্ষত্রের ঘ্রাণ!
বীজের রক্তের মতো শক্তি ল’য়ে ঝ’রে পড়িতেছ তুমি পৃথিবীর পথে!
সিন্ধুর বাতাস ল’য়ে জল-ঈগলের মতো সমুদ্রের পারের পর্বতে
তীক্ষ্ণ হয়ে উঠিতেছ,- তীরের মতন ফলে উঠিতেছ আকাশে-আকাশে!
পৃথিবীর পালকের পাখিদের হৃদয় ভরিয়া ওঠে ত্রাসে,-
সমুদ্রের ঢেউ-পাখা বেজে ওঠে যুদ্ধের রাতের নহবতে-!