সেখানে হয়তো সমুদ্র ছিল

সেখানে হয়তো সমুদ্র ছিল এক দিন-
হয়তো ব-দ্বীপ ছিল-
আজ শুধু সুবর্ণ-রঙের বালি প’ড়ে আছে
সেইখানে দুই মুণ্ড চেয়ে আছে মুখোমুখি।
মনে হয় বিবর্ণ হাড়ের দিকে চেয়ে বহু ক্ষণ
যেন এই মুণ্ডদের কোথাও চিনেছি আমি পৃথিবীর পথে-
আমরা ছিলাম, বন্ধু, তোমাদেরই সত্যের সংসদে
ক’রে গেছি এক দিন আমরাও বাতনাড়ি, বায়ুসংরক্ষণ
শরীরকে ক্ষণস্থায়ী মেধাবী যন্ত্রের মতো ভেবে
তার পর সমুদ্র হয়েছে বালি- কঙ্কাল হয়েছে কালি
আমাদের অপহৃত সত্য তবু কে ফিরায়ে দেবে!
বলিল মুণ্ড দু’টো পরস্পরের দিকে চেয়ে
সময়-শরীর-দন্তে কীচকের রন্ধ্রে যেন ঘুরে:
‘যদিও পাখির মতো উড়ে যাই নীলিমান্তরে
নাগিনীর মতো যদি পাতালের অন্ধকারে ঢুকি
কোনও আধুনিক- কোনও নিওলিথ যুগ আর
আমাদের কেন চিনে নেবে’-
তোমরা আবার যদি ফিরে পেতে সংসার- পাথার-
কী করিতে- বলো তবে-
মুণ্ড দু’টি বহু ক্ষণ স্ফটিকের গর্ভে ঘুরে সময়কে উদ্ভাবন করিল নীরবে।
কেউ নেই- কোনও দিকে কোনও গন্ধ নেই কোনও নৃশংসতার।