সেখানে নদীর পারে

সেখানে নদীর পারে গুল্ম চেয়ে থাকে।
দীর্ঘতর ঘাসের উপরে
সহসা দিনের আলো আরও ক’মে এলে
এক জন মানুষকে এনে জড়ো করে
বাতাসের দুরাচারী কোরালেরা সব
সাতটি বধির নারী করে অনুভব

আমার হংসীর খোঁজে এক দিন আমি
বেলা শেষ ক’রে দিয়ে বিকেলের মুখে
ছিপছিপে ধ্বনি শোনা গেলে পরে ঝাউয়ের পাতায়
শালিখের ডানার চাবুকে
দেখলাম ক্ষুদ্র হয়ে এক ভিড় তিতির-পাখির
রূপ ধ’রে দূরতম গাছগুলো চেয়ে আছে স্থির।

কোথাও নেই ক’ কেউ ব’লে তারা সকলেই আছে
নিকটের বিকেলের নদীর ভিতর
এখুনি ছিল না ব’লে প্রতিবিধানের মতো এসে
দাঁড়ায়েছে কয়েকটি শর
নারীর অঙ্গের মতো। তবুও হৃদয় আজ থুপি;
কত বার হারায়েছে- কত দিন হারায়েছে জুতো আর টুপি।

এদের পিছনে গিয়ে- এদের পিছনে ছুটে, আহা,
মিথিলা’য় বৈদেহী’ও জন্মে নি তখন
তবুও বিখ্যাত সাত রূপসির জন্ম হয়েছিল
এরা-ই বিখ্যাত সাত জন
যদিও আমার দেহে নেই আজ প্রেমিকের টুপি আর জুতা
এদের শরীরে নষ্ট বৈকুণ্ঠের করুণ ঋজুতা।