যে কামনা নিয়ে

যে কামনা নিয়ে মধুমাছি ফেরে বুকে মোর সেই তৃষা!
খুঁজে মরি রূপ, ছায়াধূপ জুড়ি,
রঙের মাঝারে হেরি রঙডুরি!
পরাগের ঠোঁটে পরিমলগুঁড়ি,-
হারায়ে ফেলি গো দিশা!
আমি প্রজাপতি- মিঠা মাঠে-মাঠে সোঁদালে সর্ষেক্ষেতে;
-রোদের সফরে খুঁজি নাকো ঘর,
বাঁধি নাকো বাসা- কাঁপি থরথর
অতসী ছুঁড়ির ঠোঁটের উপর
শুঁড়ির গেলাসে মেতে!

আমি দক্ষিণা- দুলালীর বীণা,পউষ-পরশ-হারা!
ফুল-আঙিয়ার আমি ঘুমভাঙা
পিয়াল চুমিয়া পিলাই গো রাঙা
পিয়ালার মধু, তুলি রাতজাগা
হোরীর হা রা রা-সাড়া!

আমি গো লালিমা- গোধূলির সীমা, বাতাসের ‘লাল’ ফুল।
দুই নিমেষের তরে আমি জ্বালি
নীল আকাশের গোলাপী দেয়ালী!
আমি খুশরোজী,- আমি গো খেয়ালী,
চঞ্চল, চুলবুল।

বুকে জ্বলে মোর বাসর দেউটি- মধু-পরিণয়-রাতি!
তুলিছে ধরণী বিধবা-নয়ন
-মনের মাঝারে মদনমোহন
মিলননদীর নিধুর কানন
রেখেছে রে মোর পাতি!