সেই পৃথু’র আমলে

আমরা কি সেই পৃথু’র আমলে জন্ম গ্রহণ করেছিলাম
কিংবা তারও ঢের আগে-
আর আমাদের মৃত্যু
কে জানে কবে হবে- অনেক বার হয়ে এসেছে ব’লে- হয়তো নেই আর
ইতিহাসের স্তরে-স্তরে
আমরা অনেক শিশুকে ভূমিষ্ঠ হতে দেখেছি
মহামারি ও মড়কের দেশে-
কিংবা বন্দিনীদের ক্যাম্পে যখন সে জন্ম গ্রহণ করেছে
আর ও-দিকে- ঢের দিন বেঁচে থেকেছে ব’লে কেউ গেছে ম’রে
(অনেকে ম’রে গেছে)
মাঝখানে ধূমাক্ত কেরোসিনের লণ্ঠন দু’ জনকে রেখেছে পৃথক?
অথবা পৃথক রাখে নি।

আমরা সেই প্রদীপকে জ্ব’লে যেতে দিয়েছি।
তবু তাকে জ্ব’লে যেতে দিই নি।
মুস্তারি ও পারবিনের দিকে তাকিয়ে
এ-রকম অনেক জন্ম-মৃত্যু দেখে গেলাম আমরা
কিন্তু তবুও আমরা অনেক বার ম’রে গিয়েছি- তবুও মরি নি
আমরা আজও বেঁচে রয়েছি- তবু বেঁচে নেই
বাঁচা’র থেকে মৃত্যু কোথায় পৃথক এবং মৃত্যুর থেকে বেঁচে থাকা
প্রবীণ মনীষীরা যা পারে নি-
আজ এত শতাব্দী পরে এমন কে জ্ঞানী রয়েছে
এই হেঁয়ালির উত্তর- অন্তঃসার- আমাদের ব’লে দেবে
যাতে সমাধির নিচে শুয়ে তবুও কেউ পুনরায়
ধূসর বিড়ালের মতো সূর্যের আলোয় স্তম্ভের উপরে আবির্ভূত হবে না।
যাতে হুডিনি’ও তৃপ্ত হয়
যাতে সিন্দুকের ভিতরে ঢুকে তালা লাগিয়ে তবুও কেউ পুনরায়
সহসা বাইরে এসে- হুডিনি’র মতো- দেখা দেবে না আর
যদিও আত্তিলা অনেক দিন হয় মরেছে
এবং রিবেনট্রপ’ও এক দিন ম’রে যাবে।