সিঁড়ির উপরে

সিঁড়ির উপরে ধাপে-ধাপে উঠিছে সে
গলায় ঘুঙুর তার- মাথায় একটি টুপি: জ্যামিতিক
হৃদয়ে বেদনা ক্ষোভ পরিহাস ব্যাজস্তুতি;
মানুষের হৃদয় কি রূপান্তর চা’বে তবু বাতাসের- সমুদ্রের- নিশীথের?
এরা যদি সমবায় বেঁধে- সময়কে কেটে-ছিঁড়ে
চায়ের পেয়ালা টেনে আরশিতে মুখ দেখে
সন্তানের জন্ম দিয়ে
রুধিরের থেকে হেমন্তের অম্লতায় গ্যাস বার ক’রে
চ’লে যেত;
মানুষের অন্তর্গত রক্ত তবু জানে
কোনও এক দীর্ঘ চঙ্গ আছে
মৃত্যু ভেদ ক’রে- আবার কি মরণের দিকে তবু গিয়েছে সে চ’লে?
এই এক ঘর্মাক্ত বিস্ময়:
আগুন-রঙিন খনির প্রতিভা আরও কত দিন নারীদের শিশুদের
মনোযোগ চায়
আমরা নিশ্চিত জানি তবু এক কথা
যখন বাতাস আসে রজনীতে- হয়তো-বা কোনও দূর সমুদ্রের থেকে
আমাদের পূর্বপুরুষেরা যারে দেখে নাই কোনও দিন
আমাদের সন্তানেরা দেখিবে না
সেই লেজেন্ডারি রূপ দেখিবার স্পৃহা তবু জাগে না ক’ মনে আর
চটের উপরে শুয়ে টের পাই পাশে চট প’ড়ে আছে
মরুভূমি চির-দিন ঘড়ি অনুসারে কাজ করে- রৌদ্র নেমে আসে
আমাদেরও নামিবার তরে ডাকে কোনও শান্ত শব্দহীন
অনুকূল প্ররোচনা
কোনও দূর চক্রবালে গিয়ে নয়-
সন্নিকটে- পীত- লিপ্ত- বালির উপরে
ধূসর বাদামি নগ্ন কাঁকড়ার আঁকাবাঁকা রেখার মতন
আমাদের কাজ চিন্তা কলরব
আমাদের হৃদয়ের সান্দ্র চৌম্বিক শক্তি;
হয়তো-বা তরঙ্গের শব্দ আবিষ্কার
আমাদের অন্তর্গত রুধিরকে জলস্রোত মনে ক’রে।
আশ্চর্য প্রবাদ এক রেখে যাই পৃথিবীতে
আমাদের সন্ততির তরে।