শিশুসন্তানটির মৃত্যুর রাতে

জ্যোৎস্নায় কোনও এক মুনিয়া কাঁদিছে বুঝি এক-আধ মিনিটের তরে
জামরুল-পল্লবের নির্জন গহ্বরে
কেন কান্না?- কয়েকটা পাতার চামরে
হিপ ঝিপ- ঝিপ- হিপ- বাতাসের?- মুনিয়ার?
কুয়াশা নারীর মুখ ধ’রে যেন ভেসে যায়
যেন কোনও কথা তার ছিল বলিবার

কুয়াশা নারীর মুখ ধ’রে যেন আরও কাছে আসে
কোনও এক চুম্বক টেনে আনে যেন তারে আমার সকাশে
উঁচু-উঁচু কালো গাছ- মুমূর্ষু ধানের পাণ্ডু বন
নদীদের নিচু নীরবতা
চাবি দিয়ে খুলিতে পারে না যেন কুহকের কথা
আমার মানুষ-মুখ দেখে রক্তে হল তার কী-যে শিহরন

এসেছে সে মৃত্তিকার তরঙ্গের মতন জগতে
নিস্তব্ধতা- চাঁদ- আর মানুষের জানালার পথে
জ্যোৎস্নায় শেয়ালেরা বার হয়- তিতিরের মতো যেন অতি দূর ডাকে
মাংসের ক্ষোভ ভুলে মানবের আত্মা পায়- বার হয়েছিল তার প্রাণ
তেমনই বিবর থেকে- পেয়েছে সে মুমূর্মু-মুখের-মতো ধান
হিম হাত বাড়ায়ে সে নিয়ে গেল নীরবে তাহাকে।