শীতের তীক্ষ্ণতা

শীতের তীক্ষ্ণতা তেমন নেই আর

দিনের আলো কাকের পাখাকে আশ্রয় ক’রে পশ্চিমের মেঘের দিকে চলেছে
পলাশের ডালপালার ফাঁকে
আকাশের রং এখন জাফরান- গোলাপি- হলদে-
প্রজাপতি করবীর কুঞ্জে ডুবে গিয়েছে
হোগলার খেতে নীড়ের ভিতর বাবুই এখন নীরব
নদীর ঢেউয়ে ছায়ার সিঁড়ি দেখেছে সে।

রহস্যময় ছায়ার সিঁড়ি দেখে
পৃথিবীর পাখিদের চোখ ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায়,
শুধু সোনালি খড়ের মাঠের রোমশ বিস্তৃতির ও-পারে
আমাদের পৃথিবীর থেকে বিচ্ছিন্ন কোনও আশার জগতে যেন
কোকিল জেগে আছে
অন্ধকার গভীর হয়ে উঠল
কিন্তু তবুও হিজলের বনে
ঐ পাখির সুর ঘুমাল না।

অন্ধকারের নরম স্নায়ুর ভিতর
আমিও খুঁজে পেলাম না কোনও ঘুম
যদিও মৃত্যুর মতো বিস্মৃত নিস্তব্ধ ঘুম ঘুমাতে চাইলাম আমি।