সোনালি অগ্নির মতো

সোনালি অগ্নির মতো আকাশ জ্বলছে স্থির নীল পিলসুজে;
পৃথিবীর শেষ রৌদ্র খুঁজে
কেউ কি পেয়েছে কিছু কোনও দিকে? পায় নি ক’ কেউ
তার পর কালো-কালো বাদুড়ের ঢেউ
উড়িয়ে শঙ্খচিল কোথায় ডুবল চোখ বুজে।

অনেক রক্তাক্ত সোনা লুফে নিয়ে চ’লে গেছে নগরীর পানে
মানুষেরা রক্তের সন্ধানে
এঁকেবেঁকে বাদুড়েরা তার পর ছক কেটে আঁধার আকাশে
জীবনের অন্য-এক মানে ভালোবাসে:
হয়তো-বা সূর্যের ও-পিঠের মানে।

চিন্তার-ইচ্ছার শান্তি চারি-দিকে নামছে নীরবে:
উজ্জ্বল সূর্যের মূল্যে মানুষকে এক দিন নীলকণ্ঠ হতে হবে
বাদুড় যেখানে দূর- আরও দূর- আকাশ-কালোয় গিয়ে মেশে
সে-গাহনে এক দিন মানুষও নিঃশেষে
নিভে গেলে বুঝি তার শেষ হিরোশিমা শান্ত হবে।