স্বপ্ন

পাণ্ডুলিপি কাছে রেখে ধূসর দীপের কাছে আমি
নিস্তব্ধ ছিলাম ব’সে;
শিশির পড়িতেছিল ধীরে-ধীরে খ’সে;
নিমের শাখার থেকে একাকীতম কে পাখি নামি

উড়ে গেল কুয়াশায়,- কুয়াশার থেকে দূর-কুয়াশায় আরও
তাহারই পাখার হাওয়া প্রদীপ নিভায়ে গেল বুঝি?
অন্ধকারে হাতড়ায়ে ধীরে-ধীরে দেশলাই খুঁজি;
যখন জ্বালিব আলো কার মুখ দেখা যাবে বলিতে কি পার?

কার মুখ?- আমলকী শাখার পিছনে
শিঙের মতন বাঁকা নীল চাঁদ এক দিন দেখেছিল তাহা;
এ-ধূসর পাণ্ডুলিপি এক দিন দেখেছিল, আহা,
সে-মুখ ধূসরতম আজ এই পৃথিবীর মনে।

তবু এই পৃথিবীর সব আলো এক দিন নিভে গেলে পরে,
পৃথিবীর সব গল্প এক দিন ফুরাবে যখন,
মানুষ র’বে না আর, র’বে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখন:
সেই মুখ আর আমি র’ব সেই স্বপ্নের ভিতরে।