শরৎ ও হেমন্তের রাত

শরৎ ও হেমন্তের রাত ভ’রে পৃথিবীর দিকে চেয়ে
নক্ষত্রের দিকে চেয়ে- তবু তার পর
তবুও হৃদয় এক পাথরের স্তূপ
অনবদ্য নদীর ভিতর

সে-পাথর মেষ বৃষ গাধা
সিংহ মীন ইন্দুরের ইন্দ্রিয়বিহীন
অনেক অভূতপূর্ব পরমাণু-বীজ আছে তাতে
অশেষ সুন্দর হয়ে তবুও শ্রীহীন

তবু তারা কাজ ক’রে যায় শৃঙ্খলায়
লক্ষ সৌর জগতের মতো
তবুও জ্যোতিষ- জ্ঞান- গরিমাকে না জেনেই আমি
তাদের জননী হয়ে রয়েছি ফলত

কোনও এক অপরূপ অভিরুচি নিয়ে তারা আছে
নদীর জলের নিচে- নদীর কিনারে
ইন্দুর শিশির ঘাস শোনে না সে-রোল
নদীর নির্জন জল পাথরের ভারে

কর্তব্যবিমূঢ় হয়ে জন্ম দেয় জলবিম্বের
বায়ুর নিক্কণে হেসে দূরে চ’লে যায়
গণিকা কাপড় কাচে- ঢেঁকি তর্ক করে; এ
মিস্ত্রিরা দোহার চালায়

দ্বৈপায়ন বিড়বিড় ক’রে ব’কে যায় ও-দিকে আবার
লেখনী চালায় গণপতি
কেননা খড়্গের চেয়ে লেখনীই বড়ো
যদি না বরাহ নিজে হয় খড়্গগতি।

রজকিনি লাথি দেয় গাধা’র জঘনে
উপরের রেলগাড়ি জল ঘোলা করে
এ-সব সুষমা ছেড়ে তবুও পাথর
অগণ্য মর্যাদা রেখে পেটের ভিতরে

স্তব্ধ হয়ে আছে কেন কুয়াশার কাছে।
ব’লে গেল অধ্যক্ষ, কুকুর, সুধী, শনি
যেমন জরায়ু বুদ্ধ নীটশেকে লালন করেছে
তেমন সে-ও কি নয় অন্য ক্ষোভ সৃষ্টির জননী।