শুধু ধ্বনি শুনি

ধ্বনি- শুধু ধ্বনি শুনি- সোনার পাখায় যেন কত পরী উড়ে-উড়ে গায়
ও গো পরী অশরীরী- তোমরা গেও না আর মুনিয়ার কণ্ঠে নীল বটের পাতায়
তোমরা গেও না আর পাহাড়ের পাইনবনে- জ্যোৎস্নার আমলকী-জাম-বীথিকায়
তোমরা গেও না আর রুপালি বৃষ্টির শব্দে- কিংবা নীল সমুদ্রের ঢেউয়ের জঙ্ঘায়
এলাচিফুলের গন্ধে চ’লে যাও- পক্ষীরাজ-ঘোড়া চ’ড়ে যেইখানে রাজপুত্র যায়
কোনও-এক দূর দ্বীপে: হিরামন তোতা আছে যেইখানে- রয়েছে সোনার আতা রুপার পাতায়
আমাদের ম্লান কাজ অভ্যাসের, অদ্ভুত বিকট ছন্দে দাঁড়কাকও বেদনা যে পায়
এখানে হৃদয় বুড়ো হয়ে গেছে- মানুষের শৈশবের কৈশোরের দিন কবে নষ্ট হয়ে ঝ’রে গেছে, হায়
অশরীরী পরীদল উত্তরিল: আমরা মানুষ কে-বা চিনি না ক’-
আমরা ফড়িং-পাখি-পতঙ্গের সঙ্গে গাই পাতায় লতায়-