সূর্য এলে

সূর্য এলে মনে আসে পৃথিবীর এক-কোটি প্রান্তরের কথা-
অসংখ্য আঞ্জির গাছে ঊর্ণনাভ- মাছি;
জীবনকে পুনরায় ময়দানবের মতো বুনন করার লোলুপতা
যদিও পিঙ্গল ধূমা কোথাও রয়েছে কাছাকাছি;

ইতস্তত মিনারের রুপালি আগুন;
কেলাসিত হয়ে আছে নক্ষত্রের দোষ;
আপাদমস্তক ঘিরে যেন তাহাদের
মৃত এক ডাইনীর সজীব মুখোশ;

দাঁড়ায়ে রয়েছে তারা; মিনারবিহীন
মূখ দেশ-দেশান্তের নিচু নীলিমাকে
পুনরায় উর্ধ্বে তুলে- সূর্যের কাছে-
যতোদিন গিরেবাজ পাখি বেঁচে থাকে।

দিকে-দিকে বুলভার জ্ব’লে ওঠে, তাতে
মানবিক চোখগুলো বিকশিত হয়;
জেব্রা ক্যাঙারু পুমা হলুদ রঙের বাঘ চিতা
পরস্পরের প্রতি মুখোমুখি অনুভাবনায়

চেয়ে থাকে জানলার চিলে ফাঁক দিয়ে,
এক মুঠো ডাইনামোর অন্তরাল থেকে,
স্টেশনের গ্যাসোলিন-মুণ্ডের পিছে;
কৃমিকীটদের মতো স্থির নিখুঁত বিবেকে

খোড়লের মতো কুরে-কুরে খেয়ে ফেলছে হৃদয়;
দিকে-দিকে শুরু হল নগরীর ভোর-
এই সব কথা কিছু অতীতের। এক চুল ভ্রান্তির বিপদে
এখন সকল দেশে রয়েছে ভোরের হাড়গোড়।

[উত্তরসূরি। পৌষ ১৩৬৬]