সিংহলের থেকে রোজ

সিংহলের থেকে রোজ যে-জাহাজ রৌদ্র দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে
চ’লে যায়- ঘরে ফেরে- ক্রমে তার সমাকীর্ণ কাঠে
বৎসরেরা জমা হয়- বৃদ্ধ সময়ের মতো শ্লেষে।
নেকড়েপালের মতো সিন্ধুর তরঙ্গ তার শরীরকে চাটে
আমিও ধরেছি প্রাণ- এক দিন মানবকৰ্তব্য ভালোবেসে
তবুও হাতুড়ি ঠুকে- অভিসন্ধি-ইন্দ্রিয়ের গাঁটে
যখন বিসর্প-বাত জড়ো হয়- মূঢ় পরিদের- গিলে ফেলে
দেহকে করিবে ক্ষয়, আড়ম্বরময় ব্যাপ্ত জতু প্রাসাদের মতো জ্বেলে

বিংশতি কামনা সব কাকাতুয়া, কুকুর, হরিণ
লুটে নিক- সর্বদাই চাহে যারা ব্যক্তির ক্ষেম
তাহারাও জিনে নিক- আমার হৃদয়ে আছে যেই সব ডিম, নেপথলিন
হাতের তেলোর চাপে মনে হবে বিচিত্র টোটেম
এক দিন চেয়েছে যা লঘুমনা দেবী আর জিন
নিয়ে নিক। নিয়ে নিক- হে স্থবির যক্ষ, তুমি যেখানে যা প্রেম
রেখেছিলে- চ’লে যাব এই বার আমি এক অসম্ভব পরিধির পানে
বার করেছিল পুরাদার্শনিক অনন্ত সরলরেখা যেমন সূচির এক-টানে।