সব ছেড়ে জানিয়াছে

সব ছেড়ে জানিয়াছে- এই কথা জানিয়াছে আমার হৃদয়
সমস্ত বেদনা রক্ত মুছে যায়- এ দীর্ঘ সবুজ নীল গাছের জগতে
আজও এই পৃথিবীর- আজও এই পৃথিবীতে কুহকের সমারোহময়
র’য়ে গেছে কত রং ভোরের আকাশে আর সন্ধ্যার আকাশে- আর নক্ষত্রের পথে

ইহাদের কাছে এসে পৃথিবীর ক্লান্ত শুন্য রক্তাক্ত জীবন
সান্ত্বনার স্বাদ পায়- উঠানের কৃষ্ণচূড়া-শাখার পিছনে
নীলাভ আকাশখানা জেগে থাকে সারা-দিন- পাতা নড়ে- পল্লবের মন
সারা-দিন খেলা করে- না জানি কাহার সাথে- কেমন বিজনে

না জানি কাহার সাথে- আলো রোদ হাওয়া মেঘ আকাশের সাথে?
জানি না; কেবল জানি রূঢ় শব্দ রুক্ষ রক্ত নিয়ে এই বন, এই পল্লবের বুকে
যে আসে আঘাত দিতে- তার সেই দুর্বিনীত অসুস্থ আঘাতে
এই বন ব্যথা পায়- যে গভীর শান্তি স্বপ্ন লেগে আছে ইহাদের মুখে

দু’-এক নিমেষ তাহা বাধা পায়- তুমি তাই চুপে-চুপে এই সব বনে
সহানুভূতির ভরে নেমে এসো- অপরাহ্নে পৃথিবীর নিভন্ত আকাশে
নেমে এসো একা তুমি- অশ্বত্থ হিজল শাখা তখন গোপনে
শোনাবে নির্জন কথা তোমারে অনেক ক্ষণ আকাশের পাশে

তার পর পৃথিবীর পথে তুমি ফিরে যেও ইন্দ্রধনু-রঙের মতন
নীরব নীলাভ রাঙা অনুভব বুকে নিয়ে- যে তোমার হাতে
তখন রাখিবে হাত- দেখিবে তোমার মুখে গোলাপি আলোর আয়োজন
বুঝিবে সে কাটায়েছ ঢের রাত তুমি দূর নক্ষত্রের সাথে-