সহসা শিথিল হয়ে গেল

‘সহসা শিথিল হয়ে গেল’ যদি ভাবি
তা হলে মনের ভুলে গেঁজে আছে ঢের দিন থেকে।
বীতপুরুষের উক্তি চারি-দিকে কোলাহল ক’রে
থেমে গেছে আজ এই নিসর্গের রমণীয় ভোরে।

খাঁচার ভিতরে ব’সে বিখ্যাত পাখির
এ-রকম দু’-চারটে কথা মনে হয়
অনেক অপূর্ব শব্দ শিখেছে সে নরলোক থেকে
এখন সে-লোকও নেই, নেই আর পাখির হৃদয়

‘স্থবির হতেছে সব, অথবা স্থবির
জন্মের মুহূর্ত থেকে সব
মহান পুরুষ আমি এই সব পাখির নিকটে
তবুও আমার চিন্তা ওরা কি করেছে অনুভব?’

উক্তি করি সাদা সাধারণ বেগে- সহৃদয় অনুভাবনায়
প্রতিধ্বনি ক’রে যায় ওরা
লোহা’র শিকের পিছে- ঘরে আর কারাগারে মাথাগুনতিতে ঠিকই আছে
অপর রকম ভাবে চালালে হয়তো হত পক্ষিরাজ ঘোড়া

গোবি মরুভূর বাঘ হয়ে যেত
আমার হৃদয়ে এক সোনালি সুন্দর বাঘ আছে
হয়তো সৃষ্টির অর্থ ভয়াবহ ব্যাঘ্ৰপনায়;
সেই গাভী আমাদের নিবেদন চায়।

উন্নাস অপাপ মুখে চেয়ে থাকে যে-কোনও সময়
ভেবে-ভেবে পেয়ে গেছি বিমর্ষ বিশ্বাস
সেই করুণার থেকে রাষ্ট্রিকীর যৌবন পেরুলে
তবু সে শিশুও নয়- এখনও প্রশান্ত গর্ভবাস।

প্রাচী’র প্রবীণ জ্ঞানী এই কথা ভেবে
অজাত শিশুর দিকে ধ্রুব তারার আলোয়
যাত্রা করে মীমাংসার দণ্ড হাতে নিয়ে
হয়তো তবুও শিশু যেতেছে বুড়িয়ে

সিন্ধুস্থানে নেমে আসে হয়তো স্বস্তিক, কাস্তে সচ্ছল হিজাজ
অথবা হবে না কিছু আজ
নচেৎ রক্তের নদী বয়ে গেলে- দু’এ আর দু’এ মিলে চারে
সেই নদী বয়ে যেতে পারে।