সোমেশ্বর মুস্তফি

সিন্ধুর ধবল তীরে একা ব’সে করমণ্ডলের দীর্ঘ দুপুরবেলায়
খাবার-থলের থেকে রুটি, টক, ডিম, ঝাল বার ক’রে নিয়ে
শূন্যে সব ফিকে ফেলে দিয়ে গেল বালুকার উপরে দাঁড়িয়ে
মনে হল যেন এক সিন্ধুকাক এ-সব খাবার খেতে চায়
পৃথিবীর পরিধির মতো গোল চোখের বিরহে নষ্ট হয়ে
অথচ সেখানে কোনও সিন্ধুকাক ছিল না ক’- যত দূর ট্যুরিস্টের চোখ
চ’লে যায়- সোমেশ্বর মুস্তফির প্রাণে তবু প্রতীকের মতো ডানা, বিষণ্ন পালক
নেমে এল- সূর্যের শরীরে কালো সানস্পট-বিম্ব রেখে দিয়ে
নীলাভ গগলস্-আঁটা কোনও এক ওয়েলস্-মহিলা
সমুদ্রের পারে এই যুবককে চিমনির মতো কালো মেশায়ার মতো
একাকী দাঁড়াতে দেখে- ভেসে এল বড়ো রৌদ্রে স্থির রবাহূত
প্লোভার পাখির হর্ষে- তাহার চারটি ছেলে এক টন ডিম, কেক, মার্মালেডে

অজগর-লীলা
বালিতে চালাতেছিল- ঠেলাগাড়ি, আয়া-বেয়ারার ভিড়, দড়ি, তার্পুলিন
মলয়ালি জাদুকর, তাম্বুল-রঙের জিল্লি- ভবঘুরে- শিখ ঔপনিবেশিক
গোয়ানিজ বাবুর্চিরা- টোমাটোর মতো লাল গালের মালিক
অসংখ্য পুরুষ-নারী দেখা দিল- খোসাছেঁড়া পেঁয়াজের মতন রঙিন
তাদের হৃদয় সব সাদা সমুদ্রের কূলে জ্যৈষ্ঠের আলোকে
মক্ষিকার মতো যেন গুঞ্জরণ সর্বদাই- কোথাও নতুন সম্ভাবনা
এখুনি সাধিত হবে ব’লে তারা ক্যাম্পে শুয়ে ব’সে ছুটে ধনাত্মক বিদ্যুতের কণা
কেবলই ছুঁড়িতে আছে মুস্তফির কালো গোল অন্ধকার পরিতৃপ্ত চোখে।