সময়

সময়, আমারে যদি জাদুবল দাও তুমি
তা হলে আবার এক শিশু হব আমি
মায়ের আঁচল ছেড়ে শরতের পীত শ্যাম মধুকূপী ঘাসে
খড়ির গুঁড়োর মতো ধবল ধূলায়
কোনও দূর ময়ানি নদীর পারে
ময়জানি পাখিদের চেনা এক কুঁজো ঘাড় খড়িপর্বতের
খানিকটা চাঙড়ের মতো আমি
বাতাসের ঠেলা খেয়ে
গড়াব ভোরের রৌদ্রে- অবিরল-
দেখো তুমি যেন আমি অভিভূত মুখ দেখে ফিরি শুধু
নদীদের তরঙ্গের আরশিতে
হেসে-হেসে ভেঙে ফেলি
পৃথিবীর চৌকোনা মেহগেনি-ফ্রেমে আঁটা নিস্তব্ধতা
সেই স্বর শুনে তবু
যেন কোনও পরির শেমিজ থেকে স্খলিত- ধবল
রুপালি কাজলি ফলি সরপুঁটি ভরা স্বচ্ছ নির্ঝরের জল
আমারে না গিলে খায়-
চাঁদ যেন মননের দীপ থেকে উদ্গীরিত ধূমা মেখে
যেন কোনও বুনুনির কাপড়ে আনন্দ তার ঢেকে
দীর্ঘ এক পুরোহিত তরুণীর মতো
ঘোর কৃষ্ণ স্লেটগিরির স্তব্ধ
পূর্ণ শীর্ষে জেগে নাহি ওঠে আর…
সহসা গোরুর মুখ সন্ধ্যায়
গোগ্রাসে শূন্যের দিকে চেয়ে আছে
যেন তার কিছু গিলিবার
নাই আর;
অন্ধকার প্রান্তরের গালভাঙা, হে তরুণী গাভী,
আজও তুমি ছায়া খাও?
কার কাছে করিতেছ খানিকটা বাতাসের তৃণগুচ্ছ দাবি!