সময়ের উদ্বুদ্ধ সন্তান

এরা সব সময়ের উদ্বুদ্ধ সন্তান
সেই নারীটিকে আমি ভালো ক’রে জানি
রোদে চুল ঢেলে দিয়ে সর্বদাই মন
ছিল তার (কোনও এক) সূত্রের সন্ধানী

মোমের আলোর কাছে ব’সে থেকে একা
কলম চিবিয়ে নিয়ে প্রবালের মতো মূর্ত দাঁতে
তবু সে নিজের আর সময়বীজের
অস্পষ্টতা পারে নি খসাতে

তার পর বুঝেছিল আপনার কক্ষে পাক খেয়ে
অথবা রাস্তায় নেমে সমিতিতে গিয়ে
পিঙ্গল কাজেরও স্রোতে নেমে যাওয়া ভালো
না হলে স্তম্ভের মতো নেপথ্যে দাঁড়িয়ে

দাঁড়িয়ে- দাঁড়িয়ে থেকে মানুষের ঠ্যাং
শূন্যের নিকটে ক’রে অবশেষে গড়
অথবা বাতাস খেয়ে বেঁচে থাকে ব’লে
কানামাছি ঢুকে পড়ে মুখের ভিতর

তাই সে বিবেক নিয়ে করে নি জটলা
অতীতের কাছে কোনও চায় নি নিরিখ
অথবা গ্রন্থ খুলে শপথকে ভুলে
হয় নি সন্দিগ্ধ দার্শনিক

ক্রমে সে এমন ক’রে বহুবিধ বর্ণাঢ্য অজ্ঞতা
জমায়ে গিয়েছে তার কাজের ভিতরে
তবুও তাদের গোল হেঁয়ালির ফাঁক থেকে চুপে
মাঝে-মাঝে মুকুরের মুখে এসে পড়ে

সেই সব দিন- রাত- অবলুপ্ত আজ
সেই এক মুখ- মূর্খ, ইতর, বেবুন
অথবা মনীষী যার দিকে চেয়ে ভুলে গিয়েছিল
এ-যুগের এক গালে কালি কেন, অন্য গালে চুন।