সম্পাদনা

কাগজের সত্ত্বাধিকারীর কাছে কখনও আশ্বাস পেয়ে- কখনও শূন্যতা
তবুও সে সম্পাদনা উজ্জ্বল উৎসাহে মেতে চালায়ে গিয়েছে ঢের দিন
কেননা মাখন খেতে ভালোবেসে খেয়েছে সে নীল মার্গারিন
চায়ের টেবিলে একা ব’সে থেকে জীবনের পাঁড়-নিষ্ফলতা
গিলেছে ঘুমের থেকে উঠে ভোরে- প্রতি ভোরে- সে ও তার গিনিপিগ ক’টি
আইবুড়ো যুবা ক্রমে এ-রকম একঘেয়েমির মাঝে থেকে বুড়ো
হয়ে যেত- তবুও ঘড়ির শব্দ তার কাছে কোনও দিন ঠেকে নি বেসুরো
যদিও বিরক্তি আসে মনীষীরও- মনে হয় কলকাতা আবার নির্বিণ্ন সূতানুটি
হয়ে যদি নিভে যেত অন্ধকার সময়ের কাছে-
তবুও সে এ-রকম বিবেকের জঘনের হাড়গোড় ক’রে ফেলে গুঁড়ো
ধূসর- ধূসর এক কাগজের সম্পাদক-
সূর্যঘড়ি- বালুঘড়ি- দেয়ালের ঘড়িটির কাঁচে
প্রিন্টারের শয়তান নেচে যায় সারা-দিন- বাহিরের বেলুন-জগৎ
স্ট্রেচারের ‘পরে শুয়ে সর্বদাই হাসপাতালের মতো ঘ্রাণ
নাকে ক’রে শুভ অবসরে জেগে করে প্রণিধান
আরশোলা, আলো, মৃত্যু, কার্বলিক সাবানের মূল মতামত
বন্ধু-পরিত্যক্ত হয়ে কোনও এক সমুদ্রের ধূসর সৈকতে
একটি খাবার-থলি হাতে নিয়ে মৃত বাবুর্চির কথা ভেবে
তবুও খাস্তগির ষোলো পাতা অন্তঃসার রোজ ভোরে পৃথিবীকে দেবে
গ্রীনবোট, জার্মান, অধ্যক্ষ, ভূত- চার হাত-পায়ে হেঁটে সকলের পথে।