সমুদ্রের কাছে

সমুদ্রের কাছে প’ড়েছিল এক কৌটিল্যের হাড়
পায়ের আঘাত দিতে আকণ্ঠ সিন্ধুর শব্দে বাজিল আবার
তাহার হৃদয়ে আজও আছে ঢের রক্ত অহঙ্কার

আমার বুকের ‘পরে- গাহিল সে- হারুন-অল-রসিদের হাত
তবু ফোড়া ফাটিল না- সন-যত-সেন ছিল আমার সাঙাত
তবু ফোড়া ফাটে নাই- ম’রেও হল না বাজিমাত

দেখি নি কি পৃথিবীতে রয়ে গেছে অবলঙ্ ডোরাকাটা ভাঁড়
মানমন্দিরের কাঁটা, সাধু তরবার
বিড়ালের মতো চোখ তিষ্যরক্ষিতার

পাথরের সিংহের কুক্ষি থেকে যখন যৌবন ওঠে ন’ড়ে
সহসা ফলন্ত সিংহ চেপে ধরে কুক্ষি সজোরে
উঠে আসে কোটি শব গলগল ক’রে

অমাত্যেরা সিঁড়ি বেয়ে কেবলই নামিছে শহর-মুখীন হাসিমুখে
বাতাসের বলিদ্বীপবাসিনীর বুকে
জরা, মৃত্যু, পায়জামা খ’সে যায় বহু আয়ুবৃদ্ধির সুখে

হে কঠিন মৃত্যু, তুমি আমারে আনিলে কেন ডেকে
যখন পঞ্চম অঙ্ক পুনরায় প্রসিদ্ধ বিবেকে
ফিরে এল; মুকুর উজ্জ্বল হল মানুষের মুখচ্ছবি দেখে।