সমুদ্রের কিনারে

কত হাজার-হাজার বছর পরে দেখা হল যেন আবার মধ্যরাত্রির প্রান্তরে
নিকটে কোথাও পৃথিবীর অজ্ঞাত সমুদ্রের কিনারে;
কালো ঘোমটায় মুখ ঢেকে রাত্রি এসেছে ব’লে
সুপ্তি আসে নি চোখে;- সাদা চিনেহাঁসের মতো মেঘের মিথ্যে কলরব
কখন মিশে গেছে দিনের দরিদ্রতায়;- নক্ষত্রের গম্বুজ বিসর্পিত হয়ে উঠল বহু ক্ষণ পরে, তার পর
কোন এক পুরোহিতের চোয়ালের হাড়- গহ্বর-কঠিন নিস্তব্ধতা জড়ো ক’রে নিয়ে এলে!

হে নারী, তোমার মুখের রূপ
‘জান না তুমি, কত শত শতাব্দী আমার চোখের উপর দিয়ে
তরবারি ও রক্ত নিয়ে খেলা ক’রে গেছে’
বললে সে, তবুও আদিম অরণ্যের আস্বাদ যেন আবৃত ক’রে রেখেছে তাকে
সিংহী’র প্রাণের মতো প্রথম মৃত্তিকার তরঙ্গে কবে-যে সে জন্মেছিল পৃথিবীতে;
কবে-যে নক্ষত্রেরা ধূসর উপনিষদ ভেবে তার মুখের রূপকে নিয়ে গেল দিগন্তের কুজ্ঝটিকায়।