সমুদ্রের অই পারে

কোনও এক সমুদ্রের অই পারে অন্ধকার বিছানায়- স্থিরতম শান্তি তবু
হীনমান র’বে না ক’ কোনও দিন সূর্য আর কম্পাসের কাঁঁটা
আমাদের চায়ের পেয়ালা সেই কবেকার- জাপানি নারীর ছবি-আঁকা
সেইখানে চ’লে গেছে বহু দিন

চা না ফুটানোর দাগে ধরা প’ড়ে শূন্য হয়ে স’রে গেল চুপে
তবুও পেয়ালা আরও প্রভাতের রৌদ্র নিয়ে আমাদের এই দেশে জন্ম লয়
আপনারে রেখে যায় সন্ততির স্নিগ্ধ সংস্কারে
বাতাসের ও-পারে বাতাস, আকাশ নক্ষত্রে ভ’রে আছে

উঁচু-উঁচু গাছ সব দুপুরের পৃথিবীর দিকে-দিকে
পাহাড়ের শিং থেকে দূর শিঙে ঝরনার লাফালাফি
নগরীর মহনীয় জ্যামিতিক রাজপথ- বড়ো-বড়ো গেট
গ্যাসের আলোর নিচে স্বর্গীয় ঘোড়ার পিঠে রজনীর প্রহরীরা

যেন কোনও অবিরল শান্তিময় স্থাপত্যের তরে
কোনও এক সমুদ্রের ঐ পারে অন্ধকার বিছানায়- স্থিরতম শান্তি তবু
হীনমান র’বে না ক’ কোনও দিন সূর্য আর কম্পাসের কাঁটা
আমাদের চায়ের পেয়ালা সেই কবেকার- জাপানি নারীর ছবি-আঁকা
সেইখানে চ’লে গেছে বহু দিন… স্নিগ্ধ অন্ধকারে

কোথায় রয়েছে মৃত্যু- সেই দূর- দূর পরিজন
অলীক বিস্ময়ে এক-আধ বার ভাবি
আজ এই রজনীতে আমাদের নিকটে সে আসিবে না, জানি
অমর স্থাপত্য নিয়ে জেগে আছে গণবল- পূর্ণিমার উঁচু চাঁদ- কম্পাসের কাঁটা।