সমুদ্রের থেকে ঢের দূরে

সমুদ্রের থেকে ঢের দূরে এক মেরুর বিদেশে
একটি অরণ্য আছে- ঢের উঁচু বল্কলের রয়েছে নির্জন সমবায়
সেইখানে প্রশাখার মতো কীর্ণ শিং নিয়ে কৃষ্ণসার
মাঝে-মাঝে মনে ভাবে: কে তারে চরায়
চারি-দিকে মৃত্যুর ধবল বীজ
অফুরন্ত- সুন্দর- সুঘ্রাণ-
তার মাঝে সে আর তাহার নারী শিশুগুলো জীব নয়
যেন কোনও তার্কিকের মাথার ভিতরে তারা ঘূর্ণায়মান
যদি সেই কৃষ্ণসার মানবাত্মা পেত
বিকীর্ণ বনের থেকে বার হয়ে জ্যোৎস্নার আকাশে
এই বোধ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যেত তার
ঋষিমুণ্ডাকৃতি সব বরফের পাশে
কারণ, বরফ ঋষি- নিবিড় দর্শনে সমীচীন
অনেক ভাবনা ক’রে তার পর- হয়েছে শীতল
ব্রহ্মার ডিমের থেকে ঢের দূরে গিয়ে
সেই ডিম্ব-ঘ্রাণ থেকে সুস্থ হয় নীহারিকাজল
পান ক’রে। বাংলার মেয়েদের মতো শ্লথ নীহার গেলাসে!
তবু কিছু কৃষ্ণসার- কয়েকটি আলাপী হুড়ার
রাখে তারা; হতবুদ্ধি, মাংস আর মৈথুনের ঘ্রাণ শুঁকে ফেলে
তার পর আরও গাঢ় ভালো লাগে, শুনঃশেফ, পবিত্র নীহার।